Tuesday, May 10, 2011

রূপান্তর

সেই কবে, বহুদিন আগে
বসন্ত বেলায় বেঁধে ক্ষনিকের ঘর
মৌসুমী সখী মম, দেখেছিল
সপনের ঘোরে,
আমার রূপান্তর |

ঘর লাগা চোখে সুন্দরীতমা
চেয়েছিল মুখ পানে
কাছে সরে এসে, একান্ত গোপনে
বলেছিল কানে কানে:

”আমি দেখেছি তোমায়,
সাঝের বেলায়
চলেছ আমারি সাথে .
হেটেছি দুজন, খানিকটা ক্ষণ
হাত ধরা ছিল হাতে |

বেলা ফুরোলে, ফুরোলো পথও
দাঁড়ালে নদীর তীরে
অস্ফুট স্বরে বললে কি যেন
দেখলে আমাকে ফিরে |

তারপর, কি যে হলো
পলক ফিরতে দেখি
আমার চেনা
তোমার শরীর,
এক মুহুর্তে, বদলে গেল !.
যেন এই স্বাভাবিক
এমনি কথা ছিল !”

“কোন একদিন, জানিনাত কবে
হয়ত এমনি হবে …
স্বপন নদীর তীরে
তুমি মহীরুহ হয়ে রবে |”

সুর্যের রথে চেপে সময় গিয়েছে চলে,
সময় যেমন যায়.
চপলা ষোড়শী হারিয়েছে সেও ,
স্মৃতিরা যেমন হারায় |.
সাত সাগরের পাড় থেকে
জীবন নিয়েছে তারে ডেকে |

আর আমার

জীবন থাকেনি থেমে
যেমন থামেনা কারো
হেঁটে হেঁটে গিয়েছি চলে
পথ আরো আরো |.
জীবনের প্রয়োজনে
শরীর হয়েছে পটু খাদ্য অন্নেষণে |

বদলেছে মনও, বুঝেছে সেও
বিষাদ অপেখ্খা বিস্মৃতি শ্রেয়
কল্পনদী, অবাক বৃখ্খ,
কদাচ পরে না মনে |

একদা হঠাত, বহুদিন পরে
মনের ভিতরে, গহন অন্তরে
অশরীরী আকার কারা পায়েচারী করে |

তারা ডেকে নেয় মরে, সপনের ঘোরে
জীবন নদীর পাড়ে যেথা
চিরায়ত খেলা করে |.

দিধা সকলি অবসানে
প্রাণ ফিরে আসে প্রাণে
চোখ মেলে দেখি –
জলের শরীর মোর
মিশে গাছে জলে
ঘটেছে রূপান্তর
নবজন্ম পলে |

হাজার বছরের পাড়ে
অচীন বৃখ্খ এক রয়েছে দাড়ায়ে
চিনতে পার কি তারে?